ই-পাসপোর্ট পাসপোর্ট এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া বাংলাদেশীদের জন্য সহজ এবং নিরাপদ করে তোলে
গ্রীসে বসবাসরত বাংলাদেশি বিদেশীদের জন্য ঝামেলা মুক্ত পাসপোর্ট পরিষেবা নিশ্চিত করতে এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
সোমবার এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ সামান খান ই-পাসপোর্ট স্কিম চালু করেন।
গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আশুতোষ আহমেদ, অভিবাসন ও পাসপোর্ট বিভাগের (ডিআইপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী, নিরাপত্তা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এম.ডি. জার্মান প্রযুক্তি কোম্পানি ভেরিটোস জিএমবিএইচ মার্ক-জুলিয়ান সিভার্ট এবং গ্রীসে বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি হাজী আবদুল কুতুব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরো পড়ুন – অফিসিয়ালভাবে এজেন্ট পেতে পাসপোর্ট অফিস
আসাদুসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের শেখ হাসিনার প্রত্যাশার অংশ হিসেবে ২০১০ সালে মেশিন-রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রবর্তন করা হয়েছিল এবং এই বছর ই-পাসপোর্ট প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা হিসেবে চালু করা হয়েছিল।
ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির ই-পাসপোর্ট পরিষেবা একটি বড় উন্নতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট চালু করার পাশাপাশি পাসপোর্ট এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মান এবং ভ্রমণকে সহজ ও নিরাপদ করার পাশাপাশি দেশের সুনাম বাড়ায়। বাংলাদেশীদের জন্য।
পরবর্তীতে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য অতিথিদের সাথে দূতাবাসের দূতাবাসে স্থাপিত ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট সিস্টেম পরিদর্শন করেন এবং প্রক্রিয়ায় প্রথমবারের মতো ই-পাসপোর্ট নিবন্ধন করেন।
এরপর মন্ত্রী দুই আবেদনকারীর হাতে ই-পাসপোর্টের রেজিস্ট্রেশন স্লিপ তুলে দেন।
তিনি ই-পাসপোর্টের মোবাইল ইউনিটের চাবিও রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করেন। এই মোবাইল ইউনিট গ্রীস, মাল্টা এবং আলবেনিয়ার প্রত্যন্ত দ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশি বিদেশীদের শারীরিকভাবে এথেন্সের দূতাবাসে না এসে দূতাবাস শিবিরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে সাহায্য করবে।