বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে ভিন্ন ধর্মের দুই ব্যক্তি – একজন হিন্দু এবং একজন মুসলমান – একে অপরের ধর্মের প্রতি তাদের দাতব্য কাজের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পাঠ দিচ্ছেন।
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট আজহার আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রণব কুমার ঘোষ একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দান করেছিলেন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মিজানুর রহমান তার জমির এক টুকরো শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করার জন্য দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম রিপোর্ট করেছে, হিন্দুদের জন্য তাদের এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির ক্ষেত্র।
ফকিরহাটের একজন জমির মালিক ঘোষ একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দান করেছিলেন কারণ এলাকায় কোনো মসজিদ না থাকায় স্থানীয়রা তার সাহায্য চেয়েছিলেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, প্রাথমিকভাবে, এই এলাকায় একটি ছোট প্রার্থনা ঘর তৈরি করা হয়েছিল, যা পরে প্রায় 40 একর জমির উপর নির্মিত একটি দ্বিতল ভবন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।
মসজিদের একজন আধিকারিক গাউস শেখ বলেন, ঘোষ “শুধু আমাদের জমি দেননি”, মসজিদে আমন্ত্রণ জানানো হলে তিনি আমাদের সাথে এসে খেতেন।
“একটি ঈদগাহের জন্য যতটুকু জমি প্রয়োজন ততটুকু তিনি দিয়েছেন [open air enclosure] এবং মহিলাদের জন্য প্রার্থনা করার জন্য একটি পৃথক স্থান,” তিনি যোগ করেছেন।
এদিকে ভৈরব নদীর তীরে একটি সনাতন ধর্ম শ্মশানের পাশে জমির মালিক শেখ মিজানুর রহমান পুরাতনটি ভেসে যাওয়ায় নতুন শ্মশান নির্মাণের জন্য নিজের জমি দান করেন।
ফকিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর বলেন, একটি সম্প্রদায়ের মৃতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করার জন্য কোনো জমি নেই এই ভেবে তিনি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
“এখানে হিন্দু-মুসলিম সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। কেন্দ্রীয় শ্মশানটি যখন নদীতে গিলেছিল, তখন হিন্দু ভক্তদের তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করতে কিছু সমস্যা হয়েছিল। শ্মশানের পাশে আমার জমি ছিল। স্থানীয় হিন্দুরা যখন অনুরোধ করেছিল এটা, আমি তাদের দিয়েছি, “তিনি বলেন, এলাকার মানুষ আগামী দিনে সম্প্রীতিতে বাঁচতে চায়।
ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস মনে করেন, এই দুই ব্যক্তির কাজ এলাকার মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে একই ধরনের উদ্যোগ নিতে।